আসন্ন কোরবানীর ঈদের ছুটিতেও থাকবে কিছু বিধিনিষেধ
: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ঈদের ছুটির সময়েও থাকবে কি না, সেটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। চলমান ১৪ দিনের বিধিনিষেধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চলাচলসহ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। কারণ, গত ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছিল। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে যে যেখানে আছেন, সেখানে যেন ঈদ করেন। আর কোরবানির হাট চলতে দেওয়া হলেও লোকজনের আসা যাওয়ার বিষয়টি হবে খুবই নিয়ন্ত্রিত।
সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী বলেন,এবার ডিজিটাল কোরবানির হাটের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। মানুষ যাতে সেখানে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কেনাকাটা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দাম ও ওজনের সমন্বয় থাকবে। আর যদি সশরীর হাট করতে হয়, তাহলে সেগুলো খুবই নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সবাইকে সংযতভাবে ও সুপরিকল্পিতভাবে কোরবানির হাট করতে হবে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ সোমবার আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়,১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে।
চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস,শপিং মল,দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। আরও বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী। তবে শিল্পকারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে।